বাংলাধারা ডেস্ক »
বক্তব্যটা কোন একটা বিতর্ক অনুষ্ঠানের। অনন্য বাচনভঙ্গি। চিকন মুখ থেকে সড়ছেই না মায়াবী হাসি। কণ্ঠে যেন ভায়োলিনের সুর। কী বলছেন ক্ষণিকের জন্য তা ভুলে যেতে হয়; কীভাবে তিনি বলছেন বরং সেটি প্লাবিত হয় হৃদয়ে। দুই দিন ধরে এমনই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বক্তার খোঁজ করতে গিয়ে জানা গেল নাম তার রেবেকা শাফী।


বক্তব্যের ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন
ঢাকায় জন্ম এবং এখানেই তার বেড়ে ওঠা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা তাকে বলছেন ‘বিরল মেধাবী’। তার বিতর্ক অনুষ্ঠানের যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, সেটি ছিল মূলত বিটিভি আয়োজিত স্কুলভিত্তিক বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল। ১৯৯৩-৯৪ সালের সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পুরস্কার দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় রেবেকা শাফীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার এক পরিচিতজনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের খোঁজ পাওয়া গেছে।
সেখান থেকে জানা গেল, তিনি বর্তমানে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল এবং দ্য ব্রড ইনস্টিটিউট অব এমআইটি অ্যান্ড হার্ভার্ডের জেনেটিকসের একজন রিসার্চ ফেলো। ঘরে আছে এনডিমিয়া নামের এক ফুটফুটে সন্তান।

ঢাকার লেখা পড়া শেষ করে তিনি পদার্থ বিজ্ঞানে লেখাপড়া করতে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। আন্ডারগ্র্যাজুয়েটের পর হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে অ্যাস্ট্রোফিজিকস নিয়ে পিএইচডি করেন।
পেশাজীবীদের সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট হিসেবে পরিচিত লিঙ্কডইন থেকে রেবেকা শাফী সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জানা গেছে। নিজের পরিচয় তিনি এভাবে দিয়েছেন, ‘আমি ফিজিকস ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছি। কিন্তু সম্প্রতি বায়োলজিতে প্যাশন আবিষ্কার করেছি। এখন জেনেটিকস এবং নিউরোসায়েন্সের ইন্টারসেকশন নিয়ে কাজ করছি হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলে।’
ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপে শুধু রেবেকাকে দেখা গেছে। কিন্তু বিতর্ক প্রতিযোগিতার ওই পর্বে আরও যারা ছিলেন, তারাও তুখোড় বিতার্কিক। সবাই নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে এখন প্রতিষ্ঠিত।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ওই সময় নিয়মিত এই ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করতো। এখনো কালেভদ্রে হয়। তবে হতাশার কথা হল আগের সেই জৌলুস এখন আর নেই। বাংলাদেশের বিতর্ক চর্চায়ও পড়েছে ভাটা। ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন (এনডিএফ) এবং ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির মতো কয়েকটি সংগঠন নিজেদের লড়াইটা অবশ্য ধরে রেখেছে। তবে এই অঙ্গনের মানুষেরা সেটিকে যথেষ্ট বলে মনে করেন না।
সূত্র: জুমবাংলা
বাংলাধারা/এফএস/এমআর