বাংলাধারা ডেস্ক »
ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়াকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা করেছে ন্যাটো। এছাড়া সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোকেও একই ঘোষণা দিতে আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোটের সংসদীয় পরিষদ।
সোমবার (২১ নভেম্বর) ন্যাটো সামরিক জোটের সংসদীয় পরিষদের এক বৈঠকে এই ঘোষণা পাস হয়েছে। তবে সদস্য দেশগুলোর জন্য এটি মানা বাধ্যতামূলক নয়।
ওই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ন্যাটো সংসদীয় পরিষদের ঘোষণার সাথে একমত প্রকাশ করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি।
ন্যাটোতে থাকা ইউক্রেনের স্থায়ী প্রতিনিধি দলের প্রধান ইয়েগর চেরনেভ বলছেন, ন্যাটোর ৩০ সদস্যের সকলেই এ প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে।
ন্যাটোর অভিযোগ, রাশিয়া এ যুদ্ধের মধ্যদিয়ে সরাসরি ইউরো-আটলান্টিক অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে।
ন্যাটোর আসেম্বলিতে পাস হওয়া ওই ঘোষণায় বলা হয়েছে, ইউরো-আটলান্টিক অঞ্চল কোনো মতেই এখন আর বিশ্বের নিরাপদ অঞ্চল নয় এবং পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে পূর্ব ইউরোপে নিরাপত্তা পরিস্থিতি মারাত্মক অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।
এই প্রস্তাবে আরও বলে হয়েছে, বর্তমান সরকারের অধীনে রাশিয়া একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের জন্য সামরিক, গোয়েন্দা, অর্থনৈতিক, প্রশিক্ষণ এবং মানবিক সমর্থন জোরদার করা প্রয়োজন। ইউক্রেনের জন্য যতদিন প্রয়োজন ততদিন এই সমর্থন অব্যাহত রাখতে হবে বলেও ওই প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসময় রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যকার চলমান সংঘাতে ইউক্রেনকে আরও সামরিক সমর্থন দেয়ার দাবিও জানিয়েছে জোটটির পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলি।
এছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে সেনা মোতায়নের ব্যাপারে যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে তার অবসান ঘটানোরও দাবি উঠেছে বৈঠকে। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি জোটটি।