বাংলাধারা প্রতিবেদক »
৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে নগর আওয়ামী লীগের চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকালে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে ঘোড়ার গাড়ি করে প্রচারণা শুরু করা হয়। প্রচারণা কাজের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
এসময় মেয়র বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের গৌরবময় ভূমিকা আছে। চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিজের কাঁধে নিয়ে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারও হয়তো চট্টগ্রামবাসীকে নিরাশ করবেন না। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে স্বাগত জানাতে চট্টগ্রামের মানুষের মনে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও আনন্দের ঢেউ লেগেছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ সর্বসাধারণের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এ উপলক্ষে নগরীকে সাজিয়ে তুলতে সিটি করপোরেশনও ব্যাপক উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করছে। নতুন করে রঙ করা হয়েছে নগরীর প্রধান ও বড় দুই ফ্লাইওভার, নগরীর প্রতিটি সড়ক ডিভাইডার, সড়কদ্বীপসমূহ নান্দনিকভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে সকল প্রকার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, শেখ হাসিনার জনসভা একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। প্রমাণ করবো যে, ওইদিন চট্টগ্রামে জনতার ঢল মহাপ্লাবনের মতো জেগে উঠবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ বার বার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এই ঘুরে দাঁড়ানোর পথে চট্টগ্রাম শেখ হাসিনার একটি সহায়ক শক্তি। সকল ষড়যন্ত্র তাসের ঘরের মতো ভেসে দিতে প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মীদের কর্তব্য হবে জনমানুষের সাথে সংযোগ বাড়িয়ে সরকার ও শেখ হাসিনার ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করা।
প্রচারণা উদ্বোধন শেষ ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে নেতৃবৃন্দ জামালখান, আন্দরকিল্লা, কোতোয়ালী, নিউ মার্কেট, বাটালি রোড, কাজির দেউরী এসে শেষ হয়। বিকাল তিনটায় ট্রাক যোগে শাহআমানত সেতু, বহদ্দারহাট ও কালুরঘাট এলাকায় প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, কোষাধ্যক্ষ আবদুছ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, শ্রম সম্পাদক আবদুল আহাদ, নগর শ্রমিকলীগের সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে পুরো কাজ স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স পরিচালনা করলেও সরকারি প্রতিটি দপ্তর ও আওয়ামী সংগঠনগুলো আন্তরিকভাবে করছে সব কাজ। এরমধ্যে মঞ্চ পুরোপুরি নৌকার আদলে নির্মাণ করার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার সকালে পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়ের সঙ্গে পরিদর্শন করে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
তিনি বলেন, জনসভা সফল করতে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নগরীতে এখন সাজসাজ রব উঠেছে। আশা করি স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি লোক জমায়েত হবে পলোগ্রাউন্ডের জনসভায়। এ জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করেছি। জনসভাস্থলও সাজানো হচ্ছে। নৌকার আদলে স্টেজ নির্মাণ করা হচ্ছে।
নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নগর, উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সবাই মিলে এই আয়োজন করছি। আমাদের যাবতীয় প্রচারের কাজ চলমান। পাশাপাশি পলোগ্রাউন্ড মাঠে মঞ্চ থেকে শুরু করে সব কাজই প্রায় শেষের দিকে। মাইক বসানোর কাজ শেষ। এই সমাবেশে লাখ লাখ মানুষ ও নেতাকর্মীদের সমাগম হবে। তাই নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছি।
উৎসবমুখর পরিবেশে পুরো আয়োজন শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম আসছেন। এটা বেশ আনন্দের। দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ হচ্ছে পলোগ্রাউন্ডে। এখানে ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী। তাই নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও উজ্জীবিত। উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে প্রচার ও জনসভার মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। উৎসবমুখর পরিবেশে পুরো আয়োজনটা শেষ করব। এটাই মূল লক্ষ্য।
প্রসঙ্গত, আজ বুধবার বিকাল তিনটায় প্রেস ক্লাব থেকে ট্রাক যোগে নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রচার কার্য পরিচালনা করা হবে। উক্ত প্রচার অনুষ্ঠানে সবাইকে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।