রাঙামাটি প্রতিনিধি »
সঙ্গীত শিক্ষার আড়ালে ছাত্রীকে বারবার যৌনপীড়ন ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত রনজিত পাটোয়ারী নামে এক প্রাইভেট শিক্ষক ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন রাঙামাটির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে নারী শিশু ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ ই এম ইসমাইল হোসেনের আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌশলী পিপি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম অভি সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে সমাজে নারীদের প্রতি যৌন নীপিড়ন ও শ্লীলতাহানির মতো অপরাধ কর্মকাণ্ড কমে আসবে।
এদিকে আদালতে বিচারক তার রায় ঘোষণার সময় বলেন, আসামি রনজিত পাটোয়ারী ভিকটিমের গানের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ নিয়ে প্রায় দুই বছর সময়কাল ধরে বিভিন্ন সময়ে কমপক্ষে তিনবার অবৈধ যৌনকামনা চরিতার্থ ও শ্লীলতাহানী করেছেন মর্মে রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন০২০০০ এর ১০ ধারায় আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ টাকা জরিমানার দণ্ডাদেশ প্রদান করেন আদালত। এই জরিমানার অর্থ ভিকটিমকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশনাও দিয়েছেন আদালত।
ইতোমধ্যেই আসামি কারাগারে থাকাকালীন সময়গুলো সাজার মেয়াদ হিসেবে কারাদণ্ডের মেয়াদ থেকে বাদ দেওয়ার আদেশও দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, আসামির নিজের ইউনির্ভাসিটিতে পড়ুয়া একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। আসামি সঙ্গীত শিক্ষকের মুখোশ পড়ে সঙ্গীতকে তার বিকৃত যৌনাচারের হাতিয়ারে পরিণত করে তার মেয়ের চেয়েও বয়সে অনেক ছোট ভিকটিম ছাত্রীকে একাধিকবার যৌন নীপিড়ন ও শ্লীলতাহানি করেছেন।