কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারের পেকুয়ায় জমির বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় ৭ নারীসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে এক অন্তঃসত্ত্বা রয়েছেন। এ সময় উত্তেজিত লোকজন ২টি বসত বাড়িও ভাংচুর করেছে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যান ও পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করেন।
আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহতদের মাঝে আশংকাজনক অবস্থায় ৩ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
রবিবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পূর্ব সোনাইছড়ি রমিজপাড়া ঢালারমুখ নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- টইটং ইউনিয়নের পূর্ব সোনাইছড়ি রমিজপাড়া ঢালারমুখ এলাকার মৃত ফজর রহমানের ছেলে আবু ছৈয়দ (৫০), তার ভাই আবু ছিদ্দিক (৪৫), রেজাউল করিমের স্ত্রী কাজলী বেগম (৩০), আবদুল কাদেরের স্ত্রী আমেনা বেগম (৩৫), আলী হোসেনের স্ত্রী মোবারেকা বেগম (৫০), নুরুল আবছারের স্ত্রী ৪ মাসের অন্ত:স্বত্বা হাদিছা বেগম (৩০), হাদিছা বেগমের স্বামী নুরুল আবছার (৪০), নুরুল ইসলামের স্ত্রী সাজেদা বেগম (৪০), মফিজের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫০), বেলাল হোসেনের স্ত্রী নুরুজ্জাহান বেগম (২৯)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টইটং ইউনিয়নের পূর্ব সোনাইছড়ি রমিজপাড়ায় প্রায় ২৪ কানি জমি নিয়ে স্থানীয় মোজাহেরুল হকের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য নুরুচ্ছফা গং ও একই এলাকার মৃত ফজর রহমানের ছেলে আবু ছৈয়দ গংদের মাঝে বিরোধ চলছিল। বিএস ভূল রেকর্ডের বিরুদ্ধে আদালতে অপর মামলা (৪২৪/০৫) চলমান। চলতি বুরো মৌসুমে ফসল ফলাতে জমির দখলে নিতে রমিজপাড়ায় রবিবার সকালে সাবেক ইউপি সদস্য নুরুচ্ছফা গংয়ের ৩০-৪০ জন লোক ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় উভয়পক্ষে সংঘর্ষ লাগে। এতে আবু ছৈয়দ গংদের পক্ষে অন্ত:স্বত্বা নারীসহ ১২ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আবু ছৈয়দ, তার ভাই আবু ছিদ্দিক ও রেজাউল করিমের স্ত্রী কাজলী বেগমকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী শাহাব উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে আমি চেয়ারম্যানসহ গ্রাম পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।
আহত ৪ মাসের অন্ত:স্বত্বা হাদিছা বেগম জানান, আমার বাড়িসহ ২টি বসতবাড়ি গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ব্যাপক লুটপাটসহ তান্ডব চালিয়েছে হামলাকারিরা।
টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, জমি নিয়ে আদালতে মামলা আছে। আমার এখানে বিচারও ছিল। এরপরও ১টি পক্ষ সেখানে ঘর তৈরী করছিল। এটি নিয়ে বিরোধের সুত্রপাত।
পেকুয়া থানার ওসি ওমর হায়দার জানান, খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।