জিয়াউল হক ইমন »
ইনোভেটিভ ফার্মার স্বত্ত্বাধিকারী কাজী মোহাম্মদ শহীদুল হাসানের বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় উঠছে একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ। চাকরি করার পরও বেতন আটকিয়ে রাখা, কখনও মোটর সাইকেল বুঝে নিয়ে খালি চেক ফেরত না দেয়া, কখনও বেনামী চিঠি দিয়ে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন এবং হত্যার হুমকিসহ নানা অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
সর্বশেষ গতকাল সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ব্যবসায় ব্যবহার করার জন্য দেওয়া ডেলিভারী ভ্যান ফেরত না দেয়ার অভিযোগ এনে পাঁচলাইশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এলবিয়ন ল্যবরেটেরিজের চেয়ারম্যান রাইসুল উদ্দিন সৈকত।
এর আগে বাংলাধারার হাতে আসা একাধিক ভুক্তভোগীদের পাঠানো থানা পুলিশের কাছে করা অভিযোগে দেখা যায়, গত বছরের ৬ জুলাই পাচঁলাইশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আতাউর রহমান সোয়েব। অভিযোগে জানা যায়, চাকরিকালীন বেতনের পাওনা দেড় লাখ টাকা আট মাসেও পরিশোধ করেনি অভিযুক্ত শহীদুল হাসান। ১১ অক্টোবর নোমান হাসান নামে আরেক ভুক্তভোগী মোটর সাইকেল বুঝে নিয়েও খালি চেক ফেরত না দেয়াসহ হুমকির অভিযোগ দায়ের করেন। একই বছরের ৭ নভেম্বর একই থানায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে নামে বেনামে চিঠি প্রেরণ করে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারসহ স্বজনদের হত্যার হুমকির অভিযোগ করেন এলবিয়ন ল্যাবরেটরিজের চেয়ারম্যান রাইসুল উদ্দিন সৈকত। একই বছরে ৮ ডিসেম্বর আরেক ভুক্তিভোগী শহীদুল হাসানের সর্ম্পকে মামা আবু হেনা অভিযোগ করেছেন, ভুল ও বানোয়াট চিঠি দিয়ে হয়রানিসহ নানানভাবে হয়রানি করে যাচ্ছেন।
থানায় করা অভিযোগের বিষয়গুলোর সত্যতা নিশ্চিত করতে ইনোভেটিভ ফার্মার স্বত্ত্বাধিকারী কাজী মোহাম্মদ শহীদুল হাসানের ব্যবহার করা মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
পাঁচলাইশ থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান সিএমপি উত্তরের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. আরাফাতুল ইসলাম।
বিস্তারিত ভিডিও নিউজে…
