গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-০৯২

রেজিঃ নং-০৯২

মার্চ ২১, ২০২৩ ৪:৪৭ অপরাহ্ণ

ইউটিউব দেখে উদ্বুদ্ধ, ড্রাগন চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন বোয়ালখালীর ইব্রাহিমের

দেবাশীষ বড়ুয়া রাজু, বোয়ালখালী »

দেশের মাটিতে বিদেশি ফল উৎপাদন করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভার মো. ইব্রাহিম। বাড়ির পাশে ৬০ শতক জমি লিজ নিয়ে নিজ উদ্যোগে গত বছরের মে মাসে ২ হাজার ৪০০ চারা লাগিয়ে যাত্রা শুরু করেন ইব্রাহিম। গড়ে তুলেছেন ড্রাগন বাগান। তার বাগানে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে ড্রাগন ফল গাছ।

ইব্রাহিম বলেন, এসএসসি পাস করার পর আর লেখাপড়া করা হয়নি। শিক্ষাগত যোগ্যতা কম তাই চাকরির পেছনে না ঘুরে ইউটিউবে ভিডিও দেখে ড্রাগন চাষের প্রতি আগ্রহী হই। কয়েকটি বাগান ভিজিট করি। পরে নাটোর ও চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রতি পিচ ৪৫ টাকা করে ২ হাজার ৪০০ চারা সংগ্রহ করি। ৩২০টি পাকা পিলারে চায়না আরা পদ্ধতিতে প্রতি পিলারে রেড ভেলেট, ভিয়েতনামি, পিংক রোজ ও সাদা জাতের ৪টি করে চারা লাগানো হয়েছে। এতে মাটি ভরাটসহ স্বপ্নীল পরিপাটি এ বাগানটি গড়ে তুলতে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী এপ্রিল মাসেই ফলন আসবে। এক-একটি ড্রাগন ফল জাত ভেদে ৪০০-৮০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজন হয়। প্রতি গাছে ৫-৬টি ফল রাখা হবে। কেজি ২০০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করলেও প্রথম বছর ৫-৭ লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।

বছরে কয়বার ফল পাওয়া যায় এমন প্রশ্নের জবাবে ইব্রাহিম বলেন, ‘শীত মৌসুমের চার মাস ছাড়া বছরের বাকি আট মাস ড্রাগনের ফলন অব্যাহত থাকে। ১৫ দিন পরপর ফল তোলা যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আতিক উল্লাহ বলেন, বাণিজ্যিকভাবে পৌরসভায় প্রথম ড্রাগন চাষ শুরু করেন ইব্রাহিম। এই ড্রাগন চাষেই নিজে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি নিজের উপজেলায় ড্রাগন চাষের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে অনন্য অবদান রাখছেন। তার দেখাদেখি এখন অনেকেই ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

তিনি আরও বলেন, স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারিস্ট কনটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি) প্রকল্পের আওতায় উপজেলার শ্রীপুর খরণদ্বীপ, জৈস্টপুরা সারোয়াতলি ও কধুরখীল এলাকায় বেশ কিছু প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। বাগান পরিচর্যার বিষয়ে সার্বক্ষণিক পরামর্শে মাঠে রয়েছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দূর্গাপদ দেব বলেন, পৌরসভা ব্লকে প্রদর্শনী দেওয়ার সুযোগ না থাকায় প্রদর্শনী দিতে না পারলেও এলাকার কৃষকদের উৎসাহিত করতে প্রযুক্তিগত পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype
Share on email
Email

আরও পড়ুন

অফিশিয়াল ফেসবুক

অফিশিয়াল ইউটিউব

YouTube player