গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-০৯২

রেজিঃ নং-০৯২

মার্চ ২১, ২০২৩ ৪:০৩ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ-কোরিয়া বাণিজ্যে নতুন রেকর্ড

বাংলাধারা ডেস্ক »

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ২০২২ সালে নতুন রেকর্ড করেছে। দ্বিপক্ষীয় এ বাণিজ্যের পরিমাণ তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। ঢাকায় অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ রেকর্ড করা হয় ৩ দশমিক ০৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২১ সালের চেয়ে ৩৮ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি। ২০২১ সালে এ পরিমাণ ছিল ২ দশশিক ১৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

২০২২ সালে কোরিয়ায় বাংলাদেশী পণ্যের রপ্তানির পরিমাণ ২২ দশশিক ৯ শতাংশ বেড়ে ৬৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়ায়। এর আগের বছর এ পরিমাণ ছিল ৫৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে ২০২২ সালে বাংলাদেশে কোরীয় পণ্যের রপ্তানি ২০২১ সালের চেয়ে ৪৪ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। ২০২২ সালে বাংলাদেশে ২ দশমিক ৩৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের কোরীয় পণ্য রপ্তানি হয়। ২০২১ সালে এ রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৬৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

২০০৭ সালে কোরিয়ায় প্রথমবারের মতো ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানি হয়। এরপর থেকে দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ বেড়ে চলেছে। এরই ধারবাহিকতায় ২০১১ সালে কোরিয়ায় বাংলাদেশী পণ্যের রপ্তানির পরিমাণ ২০০ ও ২০১৩ সালে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়ায়। প্রায় এক দশক ধরে এ ধারা অব্যহত থাকে। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ২০২০ সালে রপ্তানির এ পরিমাণ হ্রাস ২ দশমিক ৯ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৩৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়।

তবে ২০২১ সালে ৫৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায়। ওই বছর আগের বছরের তুলনায় রপ্তানি ৪০ দশকি ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং ২০২২ সালে নতুন রেকর্ড করে। রপ্তানি দাঁড়ায় ৬৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা আগের বছরের তুলনায় ২২ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি।

কোরিয়ায় বাংলাদেশী প্রধান রপ্তানিপণ্য হচ্ছে- তৈরি পোশাক, ক্রীড়া সামগ্রী, সৌখিন জিনিস ও ধাতব পণ্য-সামগ্রী।

বাংলাদেশে কোরিয়ার প্রধান রপ্তানি পণ্য হচ্ছে- মেশিনারি, পেট্রোক্যামিকেল পণ্য, ইস্পাত ও কীটনাশক। ২০২২ সালে এগুলো হ্রাস পায়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দেশের বৈদেশিক রিজার্ভ পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ সরকারের বিদেশী পণ্য আমদানির ওপর বিধিনিষেধের ফলে এমনটি ঘটেছে।

এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি বলেন, ২০২৩ সালে কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী সংকট ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পরস্পরকে সহায়তার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সাল থেকে কোরিয়ার আগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য নীতির সুযোগ পেয়ে কোরিয়ার বাজারে ৯৫ শতাংশ বাংলাদেশী পণ্য শুল্ক ও কোটা মুক্তভাবে রপ্তানি হচ্ছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype
Share on email
Email

আরও পড়ুন

অফিশিয়াল ফেসবুক

অফিশিয়াল ইউটিউব

YouTube player