বাংলাধারা ডেস্ক »
মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে দ্বিতীয় দফায় শুরু হওয়া আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনেও মূল ফটকে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে ৮২ দিন আন্দোলনের পর গত ২৩ জানুয়ারি শ্রেণিকক্ষে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষামন্ত্রী আসার পর সাতদিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও দৃশ্যমান ফলাফল আসেনি। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামতে হয়েছে আমাদের। প্রধান দাবির পাশাপাশি কিছু সুযোগ-সুবিধার কথা আমরা বলেছিলাম। সেগুলোর কিছুই পূরণ হয়নি। মেয়েদের আবাসন, ক্যান্টিন ও শৌচাগার সমস্যার সমাধান হয়নি। মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলীরা এসেছেন, কিন্তু কোনও লিখিত প্রতিবেদন দেননি। ক্যাম্পাস স্থানান্তর নিয়ে জেলা প্রশাসক ঊর্ধ্বতন মহলে চিঠি দিয়েছে কি-না, সেটিও আমাদের জানা নেই।
এদিকে, সংকট নিরসনে বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা।
চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সুফিয়া বেগম জানান, গত ২৬ জানুয়ারি শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তর থেকে প্রতিনিধি দল ইনস্টিটিউট ঘুরে গেছেন। তারা জানিয়েছেন, ভবনে সেরকম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা নেই। করোনার সময় ইনস্টিটিউট বন্ধ থাকায়, সিলিংয়ের আস্তরণ খসে পড়েছে। হালকা মেরামত করলে ঠিক হয়ে যাবে। মঙলবার থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরুক।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করলেও প্রতিবাদ হিসেবে শ্রেণিকক্ষ বর্জন করে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করেন।