চবি প্রতিনিধি »
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ তিন মাসের আন্দোলনের পরও তাদের দাবি মানেননি কর্তৃপক্ষ। উল্টো একমাসের বন্ধ ঘোষণা করে ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু চারুকলার পাশে নেই সব শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সকাল ১০টা থেকে মানববন্ধন করেন চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এর আগে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। কিন্তু মানববন্ধনে চবির অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলই না।
এসময় চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী জহির রায়হান বলেন, আমরা সব চবিয়ানকে পাশে চেয়েছি। সকালে যখন মানববন্ধন শুরু করেছি তখন অনেকেই এসেছিল। আমরা আশা করছি দেড়টার দিকে যখন শাটল ছাড়বে বা যখন বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস শেষ হবে তখন সবাই আমাদের মানববন্ধনে অংশ নেবেন।
আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী বলেন, সকল চবিয়ান ভাই ভাই। আমরা সবাইকে পাশে চেয়েছি কিন্তু আশানুরূপ উপস্থিতি দেখিনি।আমাদের আন্দোলন চলবে। আমাদের একটাই ‘চারুকলা মূল ক্যাম্পাসে প্রত্যাবর্তন’। আর এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
মানববন্ধনে আসা বাংলা বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী আল মামুন জয় বলেন, চারুকলা আমাদেরই অংশ। তারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসতেছে। আমাদের সবারই উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো।’
তিনি আরও বলেন, চারুকলা ক্যাম্পাসে থাকলে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বাড়বে। দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার আর চিকার বদলে থাকবে রঙিন সব চিত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, চারুকলার ব্যাপারে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ শুরু হয়ে গেছে। আমি মনে করি তাদের ইন্সটিটিউটের সংস্করণ কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত তাদের অনলাইনে ক্লাস করা উচিত।