ফাতেমা পারভীন। একজন চিকিৎসক। দীর্ঘ ১৬ বছর তিনি চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তার ক্যারিয়ার ও নারী দিবসের ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাধারার প্রতিবেদক ফারিহা সামিন খাঁনের সাথে।
আপনি দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে চিকিৎসাসেবার সাথে যুক্ত আছেন। এমন একটি পেশার সাথে যুক্ত হতে পেরে কেমন লাগছে?
ভীষণ ভালো। মানুষের সেবা করার মধ্যে অদ্ভুত এক আনন্দ রয়েছে। আমি সেই আনন্দ উপভোগ করি। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমি নিজের পেশাকে ভালোবাসি। অত্যন্ত শ্রদ্ধাও করি। তাই হয়তো এত দীর্ঘ সময় ধরে এই পেশার সাথে যুক্ত থাকতে পেরেছি। ভালোবাসা না থাকলে তো সম্ভব হতো না। এই পেশায় সব ধরনের মানুষের কাছাকাছি থাকা যায়। অনেক সুখ-দুঃখ খুব কাছ থেকে দেখা যায়।
শুরুটা কীভাবে?
আমি ২০০৫ এ ধানমন্ডি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ থেকে ইন্টার্নশিপ শেষ করে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ট্রেনিং নিই। এরপর কিছুদিন হালিশহর আর্টিলারিতে সিভিল ডাক্তার হিসেবে কর্মরত ছিলাম। অতঃপর চট্টগ্রাম পোর্ট হাসপাতালে ২০০৭—এ জয়েন করি। সম্প্রতি সিনিয়র মেডিকেল অফিসার পদন্নতি লাভ করেছি।
প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এতটুকু পথ চলার প্রেরণা..
এক মেয়ে সহ পরিবার ও সংসার, সাথে আমার কর্মক্ষেত্র ও চেম্বার; এসব সামলে এই অবস্থান একদিনে আসেনি। ধৈর্য, সহনশীলতা, নিজের কাজের প্রতি ভালোবাসা, রোগীর প্রতি ভালোবাসা, সিনসিয়ারিটি, ঘরে বাইরে অফিসে সবার সাথে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে নেয়া; সব কিছুর সমন্বয়ে আজ এই অবস্থান।
মাঝে আমার হাসবেন্ড এর পড়াশোনার সময়টুকুতে, তার অসুস্থতার সময়টুকুতে আমার নিজের মনোবল, ধৈর্য, মহান রাব্বুল আলামীন এর রহমত, সবকিছু আমাকে প্রেরণা যুগিয়েছিল।
নারীর অগ্রগতির জন্য করণীয়…
সকল পেশাজীবী নারীরই স্বপ্ন পূরণের চাবিকাঠি কিন্তু একটাই। শিক্ষা, শিক্ষা…. এবং শিক্ষা। মনে রাখতে হবে শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। আর এই মেরুদন্ডের কশেরুকার এক অংশ কখনোই নারী শিক্ষা ছাড়া সম্ভব নয়। কশেরুকার ভিত্তি কখনোই নারী শিক্ষা ছাড়া সম্ভব নয়।
বাংলাধারা/এফএস/এআর