ফাতেমা নার্গিস। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে শিক্ষকতায় নিয়োজিত আছেন। বর্তমানে রয়েছেন পতেঙ্গা সিটি কর্পোরেশন কলেজ—এ ইংরেজি বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক হিসেবে। সম্প্রতি তিনি কথা বলেন বাংলাধারার প্রতিবেদক ফারিহা সামিন খাঁনের সাথে। কথা বলেন নারী দিবসের ভাবনা নিয়ে—
দীর্ঘ সময় ধরে আপনি শিক্ষকতার সাথে জড়িত, আপনার অভিজ্ঞতা জানতে চাই—
আমি সুদীর্ঘ ২২ বছর ধরে কলেজে শিক্ষকতা করছি। এক্ষেত্রে পরিবারের যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছি। যদিও আমার কর্মক্ষেত্র দূরে হওয়ার কারণে শুরুতে বেশ কষ্ট হয়েছে। তবে আমি এখন যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আর এই পেশা আমাকে যথেষ্ট সামাজিক সম্মান ও আর্থিক নিরাপত্তা দিয়েছে।
কর্মজীবী নারীদের কাজের ক্ষেত্রটা আসলেই কি সহজ?
পুরুষ শাসিত সমাজে কর্মজীবী নারীদের কাজের ক্ষেত্র মোটেই সহজ নয়। বরং বেশ বৈরী বলা যায়। এক্ষেত্রে মূল কারণ সামাজিক নিরাপত্তার অভাব। যে কারণে কিছু সেক্টরে মেয়েদের আধিক্য দেখা যায়। যেমন শিক্ষকতা কিংবা ব্যাংকিং সেক্টরে। যাতায়াতের পথে যেমন, তেমনি কর্মক্ষেত্রেও নারীকে হয়রানির শিকার হতে হয়। তাছাড়া ঘরে বাইরে দু’জায়গাতেই নারীকে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হয়।
নারী দিবস এলেই নারীর ক্ষমতায়ন, পদায়ন অধিকার নিয়ে আলোচনা বেশি হয়। সত্যিকার অর্থে রাষ্ট্র কি নারীর যোগ্যতা ও সম-অধিকার প্রসঙ্গে গুরুত্ব দিচ্ছে? আপনার কি মনে হয়?
এটা ঠিক যে নারীদিবসেই এগুলো নিয়ে বেশি আলোচনা হয়। তবে রাষ্ট্রীয় ভাবে নারীশিক্ষার গুরুত্ব বেড়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেয়েরা অংশগ্রহণ ও করছে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে হয়তো স্বীকৃতি মিলছে না। তবে আত্মপরিচয় বা সেল্ফ আইডেন্টিটি এবং আর্থিক নিরাপত্তা চাইলে সব বাধা পেরিয়ে নারীকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বাস রাখতে হবে—আমি নারী, আমিই পারি।
বাংলাধারা/এফএস/এআর