গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-০৯২

রেজিঃ নং-০৯২

মার্চ ২১, ২০২৩ ৩:৫৯ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের দুইটিসহ সাত ব্রোকারেজ হাউজের কার্যক্রম তদন্ত করবে বিএসইসি

বাংলাধারা ডেস্ক  »

বিনিয়োগকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সাত ব্রোকারেজ হাউজের কার্যক্রম তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি)। সোমবার (১২ জুলাই) বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে সিকিউরিটিজ হাউজে অর্থ আত্মসাৎ কেলেঙ্কারির কারণে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রায় সবশ্রেনীর বিনিয়োগকারীরাই বিভিন্ন সিকিউরিটিজ হাউজে বিনিয়োগকৃত পুঁজির নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। আর এ কারণে সংশ্লিষ্ট হাউজে কোন আইনের ব্যাত্যয় হলেই বিএসইসির শরণাপন্ন হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

এরই ধারাবাহিকতায় বিনিয়োগকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ৫ সিকিউরিটিজ হাউজ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ২ সিকিউরিটিজ হাউজে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে বিএসইসি।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক রকিবুর রহমানে প্রতিষ্ঠানসহ সাত ব্রোকারেজের কার্যক্রম তদন্ত করবে বিএসইসি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) যৌথভাবে এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তাদেরকে আগামী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, এই সাত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাঁচটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য এবং দুটি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসইসি) সদস্য। ডিএসইর সদস্যগুলো হলো সিনহা সিকিউরিটিজ, ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মো. রকিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠান মিডওয়ে সিকিউরিটিজ, রয়েল ক্যাপিটাল,এএনএফ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি এবং গ্লোব সিকিউরিটিজ লিমিটেড। সিএসইর সদস্য দুটি হলো- ভ্যানগার্ড শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ এবং কবির সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের পুঁজিবাজারে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কনসোলিডেটেড কাস্টমারস অ্যাকাউন্টের (সিসিএ) টাকা নয়-ছয় করেছে। এরমধ্যে বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত হিসাবের ৬৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৫ জুন থেকে ডিএসইতে বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ। একই সঙ্গে ব্রোকার হাউজটির পরিচালক ও পরিবারের সদস্যরা যাতে বিদেশে যেতে না পারেন, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে ৬৫ কোটি ৩২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৭৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠান নিয়েই তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে দুদক।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype
Share on email
Email

আরও পড়ুন

অফিশিয়াল ফেসবুক

অফিশিয়াল ইউটিউব

YouTube player